• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Suvendu Adhikari

কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

মেসি-কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ, তবু ‘আইওয়াশ’ বিতর্ক! অরূপের গ্রেফতারি দাবি শুভেন্দুর

যুবভারতী-কাণ্ডে ছবি বিতর্কের জেরে আগেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়। রিপোর্ট জমা পড়ার পরই রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে শোকজ করা হয়। সব মিলিয়ে যুবভারতী-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক কড়া পদক্ষেপ সামনে এসেছে।তবে এই সব পদক্ষেপকে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, শুধু অব্যাহতি নয়, অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসুকে গ্রেফতার করতে হবে। শুভেন্দুর বক্তব্য, যুবকদের আবেগে আঘাত করা হয়েছে। যাঁরা টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। পুলিশের লাঠিচার্জে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে জামিন দেওয়া উচিত।অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আবারও বলেছেন, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই অরূপ বিশ্বাস ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী রাজধর্ম পালন করেছেন। তবে যুবভারতীতে যে দিন বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, সেই ঘটনার বিতর্ক এখনও থামেনি। কারণ ওই দিন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়।এই ঘটনার মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মেসির সঙ্গে অরূপ বিশ্বাসের একাধিক ছবি। দর্শকদের অভিযোগ, মেসিকে ঘিরে এত অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজন রাখা হয়েছিল যে হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে আসা সাধারণ দর্শকরা তাঁকে দেখতেই পাননি। ক্ষোভ থেকেই পরে ভাঙচুর এবং বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসে।মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনাকেই বড় ইস্যু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে আয়োজকদের গাফিলতির কথা স্বীকার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ডিজিপি রাজীব কুমারকে শোকজ করা হয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতে, এই শোকজও শুধুই লোক দেখানো। তাঁর কটাক্ষ, রাজীব কুমার এই রাজ্যের অলিখিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫
কলকাতা

কাজ না হলেও প্রচার চাই! জেলাশাসকদের ‘বিশেষ নির্দেশ’—বোমা ফাটালেন শুভেন্দু, ভোটের মুখে দলে ঢল বিজেপিতে

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, জেলায় জেলায় উন্নয়নমূলক কাজ না হলেও সরকারের তরফে জেলাশাসকদের প্রচার বাড়ানোর বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যজুড়ে ৯১১৪টি প্রকল্পে সাত হাজার কোটি টাকার টেন্ডার করা হচ্ছে, অথচ সেই টাকার মাত্র দশ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, সরকার জানে বাকি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, তাই জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের মাধ্যমে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শুভেন্দুর অভিযোগ, কাজ না হলেও এলাকায় দৃশ্যমান প্রচার চালিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের শিলান্যাসের পরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও মিটিং করতে বলা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৫০০ জনকে উপস্থিত রাখতে হবে এবং তার অর্ধেকই হতে হবে মহিলাএমন নির্দেশ এসেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে আগ্রহী। বিজেপির লক্ষ্য৩৯ শতাংশ ভোটকে বাড়িয়ে ৫১ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। এই দিনই তিনজন বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক অজয় কুমার দাস, যিনি আগে আইএসএফের প্রার্থী ছিলেন। যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক সঞ্জীব হাঁসদা, যিনি আদিবাসী সমাজ নিয়ে কাজ করেন। আরও যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার বঙ্কিম বিশ্বাস, যিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পদত্যাগ করেছেন।ভোটের আগে সরকারের নির্দেশ, প্রশাসনের ভূমিকা এবং দলে যোগদানসব মিলিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫
রাজ্য

মসজিদে আপত্তি নেই, তবু ‘বাবরি’ নাম নিয়ে আগুন—শুভেন্দু থেকে মৌলানা, বিতর্ক তুঙ্গে

মসজিদ নির্মাণে আপত্তি নেই, কিন্তু বাবরি নাম নিয়েই আপত্তিএই অবস্থান আগেই জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজও। এবার সেই সুর মিলিয়েই কথা বলতে শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন মৌলানা। তাঁদের মতে, মসজিদ তৈরি হতেই পারে, কিন্তু নাম নিয়ে সংঘাত তৈরি হওয়া ঠিক নয়।একজন মৌলানা উদাহরণ টেনে বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় অমুসলিমদের আপত্তিতে হজরত মহম্মদ নিজের নামের সঙ্গে থাকা রসুলুল্লাহ শব্দটি সরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, একটি শব্দ বাদ গেলে যদি শান্তি বজায় থাকে, তাতে অসুবিধা নেই। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই অনেক মৌলানার মত, বাবরি নাম নিয়ে আপত্তি উঠলে নাম পরিবর্তন করলেই ভালো হত। মসজিদকে তাঁরা সমর্থন করছেন, কিন্তু নাম নিয়ে তাঁদের আপত্তি থেকেই যাচ্ছে।মৌলানাদের একাংশ আরও প্রশ্ন তুলেছেন, মসজিদ হোক বা মন্দিরসরকারের টাকায় এগুলো কেন তৈরি হবে? তাঁদের বক্তব্য, সরকার চাইলে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ তৈরি করুক; সেটাই মানুষের উপকারে লাগবে।এই বিতর্কের মধ্যেই হুমায়ুন কবীর তাঁর পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদের পাশাপাশি হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ও তৈরি হবে। পুরো প্রকল্পের বাজেট আপাতত ৩০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এই টাকার একটিও সরকারের কাছ থেকে নেওয়া হবে না বলেই দাবি তাঁর। আগামী এক মাসের মধ্যে একজন ব্যক্তি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বলেও জানান হুমায়ুন, যদিও সেই দাতার নাম তিনি গোপনই রেখেছেন।এদিকে স্থানীয় কিছু মৌলানা ওয়াকফ আইন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ওয়াকফ আইন কেন্দ্রের, তাই রাজ্যকে তা মানতেই হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বলেছিলেন আইন কার্যকর করবেন না, তখন তাঁরা সমর্থন করেছিলেন। পরে রাজ্যের অবস্থান পাল্টানোয় তাঁরা কিছুটা হতাশ। তাঁদের কথায়, বিজেপির ভয় দেখিয়ে মুসলিম সমাজকে বারবার সমর্থন পাওয়ার আশা ভুল। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মসজিদ, কবরস্থান রক্ষা করতে সক্ষম।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানের জেলাশাসককে বেনজির হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

মেমারির এক জনসভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরসারি আক্রমণ শানালেন বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানীর বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বর্ধমানের জেলাশাসক এখানে আছেন বেআইনি ভাবে। ইলেকশন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার হওয়ার যোগ্য়তা তাঁর নেই। বর্ধমানের জেলাশাসক তৃণমূলের বিধায়ক, নেতাদের ডেকে ডেকে বলছেন বিজেপি ভালো ভোটার লিস্ট করছেন আপনারা করছেন না কেন? এটা আয়েষা রানীর কাজ? তবে এখানেই থামেননি শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে বর্ধমানের দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, কয়েকদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ৫টাকার খাওয়ার উদ্ধোধন করতে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। আমি জেলাশাসকের কাছ থেকে জানতে চাই খোকন দাসের সোর্স কি। এই ৫টাকার খাবার দিচ্ছে ব্যক্তিগত ভাবে, তার সোর্স কি? বালির টাকা না তোলার টাকা? সোর্স না জেনে ডিএম চলে যেতে পারেন? ইনকাম ট্যাক্স দফতর জানতে চাইলে দেখাতে পারবেন তো? ডিএম এখানে অবৈধ কাজের সঙ্গ যুক্ত। তিনি বলেন, আমি জেলাশাসকের কাছে জানতে চাই সোর্স না জেনে তিনি কি যেতে পারেন? ডিএম কবে অবৈধ কাজের জন্য় যুক্ত হলেন? এদিন পূর্ব বর্ধমান ছাড়া হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএমদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, এই জেলাশাসকরা কিছু বিএলও কে ডেকেছেন ওটিপি দেওয়ার জন্য়। এটা হ্যান্ডওভার করার জিনিস নয়। ওটিপির নম্বর আই প্যাকের কাছে দিয়ে দিচ্ছে। বিএলওরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। বিএলওর নাম দিয়ে আজ ইলেকশন কমিশিনের কাছে জেলাশাসকের নামে অভিযোগ করেছি। মাননীয়া আয়েষা রানী এসব কাজ করবেন না। আপনাকে আগে থেকে চিনি। এসব করলে বিপেদে পড়বেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

অপারেশন সূর্যোদয় থেকে রাজনৈতিক সূর্যাস্ত? নন্দীগ্রামে ফের মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপি

নন্দীগ্রামের সকালটা সোমবার ফের রাজনীতিতে গরম হয়ে উঠল। একই মাঠে পাশাপাশি দুটি মঞ্চ একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। দুটির দূরত্ব কয়েক হাত মাত্র। যেন রাজনৈতিক সৌজন্যের আড়ালে তীব্র এক নীরব যুদ্ধ। স্থানীয়রা বলছেন, ২০২০ সাল থেকে এ দৃশ্য নতুন নয়। প্রতি বছরই দেখি তৃণমূল আর বিজেপির শহিদ দিবস-এর টানাপোড়েন।বাম আমলে ১০ নভেম্বর ছিল অপারেশন সূর্যোদয়-এর দিন। আজ তা নন্দীগ্রামের শহিদদের স্মরণে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কে আগে শহিদ বেদীতে পুষ্পার্পণ করবে, তৃণমূল না বিজেপি এই নিয়েই এখন বছরের পর বছর চলেছে রাজনৈতিক তরজা। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও প্রকট।পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তাই প্রশাসন প্রতি বছরই দুই দলের কর্মসূচির জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়। এ বছর সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সময় বরাদ্দ ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য। এরপরই শুরু হবে তৃণমূলের অনুষ্ঠান, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।নির্দিষ্ট সময় মেনেই সকাল সকাল শহিদ বেদীতে পৌঁছে যান শুভেন্দু। তাঁর হাতে ছিল না দলীয় পতাকা, বরং কালো পতাকা অপারেশন সূর্যোদয়-এর বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে। শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মঞ্চে উঠে তিনি স্মরণ করান, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনিই তো অবরোধ তুলেছিলেন।তবে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে শুভেন্দু সময়ও মেনে চলেন। বলেন, এটা নাগরিক কর্তব্য, রাজনীতি নয়। এবং নির্দিষ্ট সময়েই মঞ্চ থেকে নেমে যান।কিন্তু শহিদ দিবসের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভও লুকোলেন না। বক্তব্যে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের, আজও হয়নি। আপনাকে উদ্বোধনে ডাকিনি বলে রেগে গিয়েছিলেন। কিন্তু আপনাকে কেন ডাকব? ফিরোজা বিবি আর রাধারাণী আড়িকে দিয়েছি তাঁরা তো শহিদ পরিবার।তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, শহিদ পরিবারের কয়েকজন আজও মৃত্যুসনদ পাননি। চারজন পরিবার এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি, কারণ তারা বিজেপিতে এসেছে। কিন্তু আমি তাঁদের টাকা দিয়েছি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। আসল পরিবর্তন ২০১১-তে হয়নি আমরা জনগণকে নিয়েই আসল পরিবর্তন আনব।শুভেন্দুর এমন মন্তব্যে ফের নন্দীগ্রামের রাজনীতি উথাল-পাথাল। একদিকে তৃণমূলের অনুষ্ঠান, অন্যদিকে বিজেপির জবাবি কর্মসূচি এক মাঠে দুই রঙের মঞ্চ যেন ফের মনে করিয়ে দিল নন্দীগ্রামের পুরনো দিনগুলো। স্থানীয়দের মতে, আজ সৌজন্য আছে বটে, কিন্তু ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের আগুন এখনও জ্বলছে।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
রাজ্য

অধীররঞ্জন কি বিজেপির পরের চাল? শুভেন্দুর মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা রাজনীতি

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই। কিন্তু শনিবার সকালে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলল শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য। অধীররঞ্জন চৌধুরীকে শক্তিশালী নেতা বলে প্রশংসা করলেন বিজেপির এই প্রভাবশালী মুখ। আর তাতেই জোরদার জল্পনাকংগ্রেসের মাটিতে দুর্বল হয়ে পড়া অধীর কি এবার পা রাখবেন পদ্ম শিবিরে?শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসআইআর ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। কিন্তু বৈঠকের শেষেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে কংগ্রেস। শুভেন্দু বলেন, কংগ্রেস তো এখন মমতার ঘোষিত বন্ধু। যেদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরানো হল, সেদিনই রাহুল, সোনিয়া, খাড়গে স্পষ্ট সিগন্যাল দিলেনমমতার বিরুদ্ধে আর লড়ব না। মমতার সঙ্গে লড়লে অধীরই হতেন সবচেয়ে শক্তিশালী মুখ।শুভেন্দুর এই বক্তব্যে মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। কারণ, একদা তৃণমূলের ঘোর বিরোধী মুখ অধীররঞ্জন চৌধুরী এখন কংগ্রেসে কার্যত কোণঠাসা। দিল্লির হাইকম্যান্ড মমতার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, আর তাই অধীরকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভঙ্কর সরকারের হাতে। শোনা যাচ্ছে, শুভঙ্করের সঙ্গে অধীরের সম্পর্ক মোটেও মধুর নয়। ফলে এখন তিনি কার্যত রাজনীতির মঞ্চে অন্তরালেই।এই অবস্থায় শুভেন্দুর প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠছেবিজেপি কি অধীরকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে? নাকি শুধুই তৃণমূল-কংগ্রেস জোটে বিভাজন তৈরি করার কৌশল? সময়ই সেই উত্তর দেবে। যদিও অধীররঞ্জনের তরফে এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।এদিকে, এসআইআর ইস্যু নিয়েও বিজেপি যে প্রবল চাপে, তা শুভেন্দুর বক্তব্যেই স্পষ্ট। বিশেষত মতুয়া ও রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতে পারে এই বিতর্ক। তাই বারবার শুভেন্দু দাবি করছেন, এসআইআর-এর মাধ্যমে কারও নাম বাদ গেলে ভবিষ্যতে সিএএ আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে যাঁরা এখন রানাঘাট বা রায়গঞ্জের সংশোধনাগারে বন্দি, তাঁদের মুক্তির আশ্বাসও দেন তিনি।সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন নতুন দিশার সন্ধানে। অধীররঞ্জনের নামেই কি আঁকা হবে বিজেপির পরবর্তী চাল? নাকি এটি কেবলই শুভেন্দুর রাজনৈতিক বুদ্ধির নিখুঁত প্রয়োগএই নিয়েই সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।

নভেম্বর ০৮, ২০২৫
রাজ্য

'এসএসসি-র নয়া নিয়োগ পরীক্ষায় ফের দাগিদের সুযোগ', বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

নয় বছর পর আবারও হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার আগেই উঠছে একাধিক প্রশ্নআসন্ন পরীক্ষা কি সত্যিই হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ? আর কি দেখা যাবে না অনিয়ম, কারও চোখের জল? প্রায় ৬ লক্ষ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই পরীক্ষার ওপর। তবু রাজনৈতিক মহলে সংশয় কাটছে না।এই পরিস্থিতিতেই আসানসোলে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এখনও ১৫২ জন দাগি প্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নেবেন। যদিও তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। শুভেন্দুর কথায়, ১৯৫৮ জন দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ১৮০৬ জনের নাম প্রকাশ করেছে কমিশন। কিন্তু ১৫২ জনকে বাদ রাখা হয়েছে না, বরং তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ এক প্রহসনের পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, টাকা নিয়ে কেন্দ্র ঠিক হয়েছে, তৃণমূল নেতারা পুলিশের সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করছে। এর ফল কিছুই হবে না, হবে কেবল অশ্বডিম্ব।অন্যদিকে, পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানান, এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসবেন ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন প্রার্থী। আর ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশের জন্য বসবেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার জন। প্রথম দিনে গোটা রাজ্যে থাকছে ৬৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র, দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্র।অর্থাৎ, দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে চলা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসন আশাবাদী হলেও বিরোধীরা মনে করছে এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে অনিয়মের ছাপ

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

'২৬-এর নির্বাচনেও নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন মমতা? BJP নেতার দাবি জোর চর্চায়!

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট। নন্দীগ্রামের রাজনীতি আবারও সরগরম। গতবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর কঠিন লড়াইয়ে নন্দীগ্রাম হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দান। যদিও এবার ভোটে কিছুই নিশ্চিত নয়, কিন্তু সময় পেরোতেই মঞ্চ সাজাতে শুরু করেছেন দুই পক্ষের অনুগামীরা।গত নির্বাচনের পর তৃণমূলের অভিযোগলোডশেডিং করে ভোট কারচুপিএখনও বিচারাধীন। সেই মামলার ফলাফল না এলেও, নতুন লড়াইয়ের প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে। প্রশ্ন জাগেকি এবারও মমতা নন্দীগ্রাম থেকেই নামবেন?তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কৌশলের বাইরেতমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল দাবি করেছেন, ২০২৬-তেও মমতা নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি BJPর জয়ী হওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন।বিপরীতে, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের TMC সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ দাবি করেছেন, দলের মনোনয়ন বিষয়ে শুধু দলই জানে। তবে তিনি নিশ্চিতশুভেন্দু অধিকারী এবার নন্দীগ্রাম থেকে আসন ছাড়বেন। তার যুক্তি, শুভেন্দুর নিজের বুথ তালিতায় তৃণমূল জিতেছে, লোকসভা ক্ষেত্রেও তিনি তৃণমূলকে ৪১২ ভোটে এগিয়ে রেখেছেন, আর পঞ্চায়েত সমিতিতেও প্রায় ২৫০০ ভোটের লিড দিয়েছেনএসব তথ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, শুভেন্দুর এখন নন্দীগ্রামে যা শক্তি সেটা তৃণমূলের পক্ষেই যাবে।

আগস্ট ২৯, ২০২৫
রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

আদালতের নির্দেশে মেনে মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু, দিলেন নিরাপত্তার আশ্বাস

শর্তসাক্ষেপে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিলতেই শনিবার মুর্শিদাবাদে সফরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রথমে তিনি ধূলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে নামেন। সেখানে দলীয় নেতা ও কর্মীরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানান। তারপরে তিনি স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের জেরে হিংসার ঘটনায় জাফরাবাদে বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। বিরোধী দলনেতা আজ দাস বাড়িতে যান। সেখান মৃত হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের স্ত্রী এবং অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা করেন। তিনি দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, হিংসার ঘটনার পর থেকে জাফরাবাদে ভয়ঙ্কর অবস্থা। গ্রামবাসীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প ও এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে। তিনি এই বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, দাস পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর ১০ লক্ষ টাকা প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্ত আমার ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছে। কাজেই দাস পরিবারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য, আমাকে গ্রহণ করেছেন। জাফরাবাদ থেকে বেরিয়ে দিঘির পাড়ে যান। সেখান থেকে বেতবোনায় পৌঁছন। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। গ্রামবাসীরা তাঁকে নিরাপত্তার দাবি জানায়। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।

এপ্রিল ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অবশেষে মোথাবাড়িতে হাজির শুভেন্দু, আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা

অবশেষে মোথাবাড়ি এলেন শুভেন্দু। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার মালদার মোথাবাড়ি গেলেন বিধাসনসভার বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, গত ২৮শে মার্চ মালদার মোথাবাড়িতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। এই গন্ডগোলে বেশকিছু দোকানপাট, বাড়ি ঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। তাই আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে এবং কথা বলতেন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে মালদার মোথাবাড়িতে যান বিধানসভার বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজকেই মালদাহে জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি।

এপ্রিল ১১, ২০২৫
কলকাতা

এক ফ্রেমে দিলীপ-শুভেন্দু, মমতাকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতার, বললেন, 'কেজরিওয়াল যেখানে.. মমতা যাবেন সেখানে'

২০২৬ বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যে পুরো দস্তুর নির্বাচনী দৌত্য় শুরু হয় গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল ছিলেন দিল্লিতে, এদিন রাজ্য বিধানসভা চত্বর একেবারে হুলস্থূল। আবারও শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও বিধানসভার চলতি অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বিরোধী দলনেতাকে ৯ মাস বাইরে রেখেছেন। আর তো দুটো সেশন আছে। একটা বাদল অধিবেশন ও আর একটা শীতকালীন অধিবেশন। তারপরে তো দুদিনের ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তারপরে নির্বাচন। তারপর আপনারা প্রাক্তন। কেজরিওয়াল যেখানে.. মমতাও যাবেন সেখানে। আমরা কোনও সম্প্রদায়ের বিরোধী নই। আমরা তৃণমূলের নীতির বিরোধী।এদিকে আজই শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কাগজ ছোঁড়ার প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিরোধী দলনেতা এদিন জানিয়েছেন তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হয়নি। সেই কারণেই চলতি অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন।এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর আমন্ত্রণে বিধানসভায় যান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ককে এদিন বিধানসভায় যেতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে বিধানসভায় স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় হৈ হট্টগোল নিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমাদের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানতে চেয়েছিল, সাঁইথিয়া শহরে কেন ইন্টারবনেট বন্ধ। সেই প্রশ্নেই যত রাগ শাসক শিবিরের। বিধানসভা গেটে প্ল্যকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও দেখান শুভেন্দু অধিকারীরা।

মার্চ ১৮, ২০২৫
রাজনীতি

বিধানসভায় জঙ্গিযোগের জবাব সহ টানা বক্তৃতা মমতার, পাল্টা শুভেন্দু

বিধানসভার ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য়ের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন, বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা বক্তব্য় রাখছেন। একজন আক্রমণ করছে আরেকজন জবাব দিচ্ছেন। গতকালের সাসপেন্ডের জের এদিনও চল রাজ্য বিধানসভায়। নজিরবিহীন রাজনীতির সাক্ষ্য থাকল বিধানসভা চত্ত্বর। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জঙ্গিযোগের মারাত্মক অভিযোগ করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর হুঙ্কার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, আমি যখন কাগজ ছিড়েছিলাম, তখন আমি একা ছিলাম। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম আমাকে একটা কথা বলতে দিত না। অথচ ৩৯ শতাংশ ভোট ছিল আমাদের। একটা বক্তব্য রাখতে দেওয়া হত না। একটা প্রশ্নও করতে দেওয়া হত না। বাধ্য হয়েই ওটা করতে হয়েছিল।মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কথা বলা বা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া নয়। আমি কখনোই ধর্মীয় বিষয়গুলিকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করি না। কোনওদিন ধর্ম-জাতপাত নিয়ে কথা বলি না। ভাগাভাগির চেষ্টা বরদাস্ত নয়। আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে আমি রাজনীতি করি না। বাংলায় সরস্বতী পুজোয় কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। আমি নাকি হিন্দু ধর্মকে তাচ্ছিল্য করি, মুসলিম লিগ করি। প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেব। বিরোধী দলনেতা যা অভিযোগ করছেন তা প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা চলছে।এদিন বিধানসভায় মহাকুম্ভ সম্পর্কে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে উল্লেখ করে বিজেপিকে নিশানা করেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, মহাকুম্ভে ভিআইপিরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই মেগা ইভেন্টটি সঠিকভাবে পরিকল্পনাই করা হয়নি, বলে তোপ দেগেছেন মমতা। তিনি আরও বলেন, আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি, পবিত্র মা গঙ্গাকে সম্মান করি। কিন্তু কোন পরিকল্পনা নেই। কতজন অসুস্থ হয়েছেন? কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার কোন তথ্য নেই। ধনী, ভিআইপিদের জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাম্পের ব্যবস্থা থাকলেও কুম্ভে দরিদ্রদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও সরব হয়েছেন মমতা। বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দু ধর্মকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।এদিকে পালটা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলার খেসারত ওঁকে পোহাতে হবে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র , দিল্লিতে হিন্দুভোট একত্রিত হচ্ছে যা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আপনার উস্কানিতে সিএএ নিয়ে একের পর এক হামলা। এই সরকার মুসলিম লিগ ২-এর মত আচরণ করছেন। আপনাকে দাঁড়িয়ে হারাব। নন্দীগ্রাম থেকে হারিয়েছি। এবার ভবানীপুর থেকে হারবেন। আপনি বলেছেন ওরা আন্দোলন করলে আটকাতে পারবেন তো, মমতা বন্দোপাধ্যায় আজকে আমাকে থ্রেট করেছেন। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতরে জানাবো। এর আগে আমার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বাংলা থেকে মহাকুম্ভে স্রোতের মত মানুষ গিয়েছেন। রাজ্য থেকে ২ কোটি মানুষ মহাকুম্ভে গিয়েছেন। নিজের জালে নিজেই জড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সোচ্চার শুভেন্দু।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
রাজনীতি

শুভেন্দুর ওপর জঙ্গি আক্রমণ নিয়ে দিনভর চর্চা, প্রতিক্রিয়া দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক

প্রথম থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে সোচ্চার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গিয়ে সভা করেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারই পাশাপাশি সোচ্চার হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার জল্পনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশের দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শুভেন্দুর ওপর হামলা চালাতে পারে। রাজ্যপুলিশকে এবিষয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। এমন খবর ছড়িয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এই তথ্যের সত্য়াতা নিয়ে কোনও কথা বলেনি পুলিশ। তবে শুভেন্দু অধিকারী জঙ্গি হামলা নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন।তাদের কাজ তারা করবে, আমার কাজ আমি করব। তাঁর ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রসঙ্গে এমনই সরল প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারীর ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদেরও এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সে দেশের মৌলবাদীদের সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বেড়েছে বলে জেনেছে কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী।শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, তাদের কাজ তারা করবে, আমার কাজ আমি করব। আগে তৃণমূল আক্রমণ করেছে, এখন জঙ্গিরা করতে চাইছে। আগে জনগণ সুরক্ষা দিয়েছে, এখনও জনগণই সুরক্ষা দেবে।উল্লেখ্য, ওপার বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কট্টরবাদীদের উপর্যুপরি হামলা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অভিযান করেছেন। ইউনূস সরকারের তুলোধোনা করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজনীতি

বাংলাদেশে গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি উঠলো এবাংলায়, পথে শুভেন্দু অধিকারী

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক মহম্মদ ইউনুসের শাসনকালে ওই দেশে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের খুন, মারধর, মন্দির-বাড়ি লুঠপাট থেমে নেই। হিন্দু তথা স্ংখ্যালঘু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছে সেদেশের হিন্দুরা। এদিকে এরাজ্যেও পথে নেমেছে বিজেপি। বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর ক্রমাগত বেড়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদে ও বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্থিত্ব রক্ষার অন্যতম মুখ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন অভিযান করে। দিল্লিতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

কেন নবান্নের বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং নয়? কারণ জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী

লাইভ স্ট্রিমিং প্রশ্নে জুনিয়র চিকিৎসক ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করলো আদালতকে প্রভাবিত করতে। লাইভস্ট্রিমিংয়ের সাথে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। সুপ্রিমকোর্টের শুনানি তো লাইভস্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশ দেখছে। নবান্নের সভাঘরে যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তার সাথে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। নবান্নের সভাঘরে কি বিচার প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল !নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক, লাইভস্ট্রিমিংয়ে আসলে ওনার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক। পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন।নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে লাইভ দেখতে অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর বকাঝকাও ওই বৈঠকগুলিতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু লিখেছেন, যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়? আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কেনো প্রশ্ন উঠলে উনি জবাব দিতে পারতেন না।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
রাজনীতি

শুভেন্দু-দিলীপ সাক্ষাতে নয়া জল্পনা, জন্মদিনে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে শুভেচ্ছা কুণালের

লোকসভার ফল বের হওয়ার পর বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির বিজেপির প্রার্থীর বক্তব্যে আগুন ঝড়ছিল। দলে তাঁর বিরুদ্ধে কাঠি করা হয়েছে। তাঁর জয়ী আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিলীপের বক্তব্যের নিশানায় কে ছিলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী না সুকান্ত মজুমদার? তা নিয়ে কম জল্পনা ছড়ায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে সটান গিয়ে হাজির হয়েছেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এর আগে এদিন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল সল্টলেকে এমএলএ-এমপি আদালতে।দীর্ঘদিন পর বিধানসভায় গেলেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দুর ঘরেই পালন করা হয় দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। দিলীপ ঘোষের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। নিজে হাত দিয়ে শুভেন্দু মিষ্টি খাইয়ে দেন দিরীপ ঘোষকে। দিলীপবাবুও মিষ্টি মুখ করান শুভেন্দুকে। রীতিমতো স্লোগান দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের নামে। তবে কি শুভেন্দু-দিলীপ ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটল? এই সাক্ষাতের মধ্যে ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। দুবছরের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন। সেদিকে প্রধান লক্ষ্য বিজেপির। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন সাংসদ তথা গেরুয়া দলের লড়াকু নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট লিখেছেন, লড়াকু নেতা, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষ মহাশয়ের জন্মদিনে প্রণাম এবং শুভেচ্ছা জানাই।এদিকে আজ সকালেই সল্টলেকে MLA-MP কোর্টে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা হয় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। দুজনেই সেখানে গিয়েছিলেন হাজিরা দিতে। দিলীপ ঘোষকে দেখে এগিয়ে যান কুণাল। দুজনকে করমর্দন করতেও দেখা যায়। বিজেপি নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তবে বিধানসভায় শুভেন্দুর ঘরে দিলীপের সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

আগস্ট ০১, ২০২৪
রাজনীতি

"দুই কেন্দ্রে কিভাবে জিতবে তৃণমূল?", বাগদায় প্রচারে ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুভেন্দুর

রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ১০ জুলাই। ওই দিন উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা আসনেও উপনির্বাচন। শনিবার দলীয় প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসের হয়ে প্রচার করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাথুরিয়ায় পরিবর্তে সিন্দ্রাণীতে এদিন এক পথসভা করেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে আনেন ভয়ঙ্কর অভিযোগ। যাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।ভোট লুঠ করে জিততে চাইছেন মমতা। বুধবারই বাগদায় ভোটের আগেই প্রচারে ঝড় তুলে মারাত্মক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০ জুলাই বাগদায় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথাও এদিন শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার গলায়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস জয়ী। জয়ের পরপরই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ। এবার বাগদা আসন থেকে পদত্যাগ করে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে পরাজিত হন। উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে দলীয় রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধূপর্ণা ঠাকুরকে। রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা জেতাতে নবান্ন থেকে এসপিকে ফোন মমতার। এদিন প্রকাশ্য সভায় তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, মমতা পার্থ ভৌমিক, রাজীব ব্যানার্জীকে নিয়ে মিটিং করেছেন। নবান্ন থেকে এসপিকে ফোন করে বলেছেন আমার এই সিট চাই একই সঙ্গে তিনি বলেন, এসব যত করবে তত ধ্বংসের পথে যাবে তৃণমূল।এদিনের প্রচার থেকেই বাগদা উপনির্বাচনকে তৃণমুলের চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচন বলে উল্লেখ করা পাশাপাশি ৭ দফায় লোকসভা ভোটে ভোট লুঠের চেষ্টার অভিযোগও আনেন তিনি। আক্ষেপের সুরে শুভেন্দু এদিন আরামবাগে বিজেপিকে হারিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। প্রচার সভা থেকেই এক চাঞ্চল্যকর দাবি করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে শোভনকে মেয়র করতে চান মমতা। উল্লেখ্য লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বাগদা বিধানসভায় ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি।

জুলাই ০৬, ২০২৪
রাজ্য

অধিকারী গড় পূর্ব মেদিনীপুরে ফের জেলাশাসক পদে পূর্ণেন্দু

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বদল। ফেরানো হলো পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে। নির্বাচনের আগে এই জেলায় জয়শী দাশগুপ্তকে জেলাশাসক করে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যেতেই জয়শীকে জেলাশাসকের পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল গতকাল। ঘোষণা প্ নতুন জেলাশাসকের নাম।লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট লুঠ করা হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ওসি-আইসিদের নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিতেই বিজেপি ভোট লুঠ করেছে। নানা পন্থা অবলম্বন করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে।উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের এগরা ও ঘাটালের পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা ক্ষেত্রেও লিড পেয়েছে বিজেপি। জেলার ১৬টির মধ্যে ১৫টি বিধানসভা এলাকায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যে জেলাশাসকদের বিভিন্ন জেলায় আনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককেই প্রথম সরানো হল। রাজনৈতিক দিক থেকেও তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গত ২২ মার্চের বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন আইএএস জয়শী দাশগুপ্ত। তৎকালীন জেলাশাসক তনভীর আফজলকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছিল।পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলানো পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার আগে তাঁকেও বীরভূমের জেলাশাসক করা হয়েছিল। বীরভূমের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের দায়িত্বে আসেন।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরানো হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককেও। ২২ মার্চ বিজ্ঞপ্তি করে জানানো হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হবেন আইএএস কে রাধিকা আইয়ার। তখন বিধানচন্দ্র রায়কে বিদ্যুৎ দফতরের বিশেষ সচিব পদে পাঠানো হয়েছিল।বীরভূমের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে বদলি করা হয়েছিল রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের এমডি পদে। এবার তাঁকে পাঠানো হলো পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক করে, যে দায়িত্ব তিনি আগেও সামলেছেন।

জুন ১০, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

‘ইথিওপিয়া সিংহের দেশ, গুজরাটও তাই’—বিদেশের মাটিতে মোদীর আবেগঘন বার্তা

ইথিওপিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে তিনি ভারত ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ইথিওপিয়াকে সিংহের দেশ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেখানে নিজেকে ঘরের মানুষের মতো অনুভব করছেন। কারণ তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের জন্যই পরিচিত।এই সফরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আবি আহমেদের হাত থেকে গ্র্যান্ড অনার নিশান অব ইথিওপিয়া সম্মানে ভূষিত হন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভারত ও ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এবার কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করা হল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পহেলগাঁওয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ইথিওপিয়ার পাশে থাকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান এক এবং এই সহযোগিতা ভারতের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।নরেন্দ্র মোদী আরও জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে ভারত ও ইথিওপিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এক। ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আফ্রিকা স্টিল মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।এই ভাষণের মাধ্যমে ভারত-ইথিওপিয়া সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছল, তা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal